স্বদেশ ডেস্ক: রাজনের বিয়ে উপলক্ষে গত ১৫ জুলাই দিনভর আলতাফ হোসেনের বাড়িতে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। আত্মীয়-স্বজনে ভরপুর ছিল বাড়িটি। মুহূর্তের একটি দুর্ঘটনায় বাড়িতে নেমে আসে শোকের মাতম। ভোর থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় করে কান্নার রোল পড়ে বাড়িটিতে।
১৬ জুলাই দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের সদ্য বিবাহিত বর রাজন শেখের বাড়িতে দেখা যায় নিস্তব্ধ শোকাবহ পরিবেশ। চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না দূর-দূরান্ত থেকে আসা শত শত নারী-পুরুষ। সান্ত¦না দেয়ার ভাষা নেই কারও কাছেই। শুধুু কান্দাপাড়া নয়, আশপাশের গ্রামগুলো থেকেও শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুুষ। ওই বাড়িতে এসে এমন শোকাবহ পরিবেশ দেখে অজান্তেই চোখের অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে অনেকের। সেখানে কথা হয় চুনিয়াহাটি থেকে আসা রাজিয়া খাতুন, কালিয়ার আব্দুল শেখ, মাসুমপুর মহল্লার রাজু, রায়পুরের হাসিনা বেগম জানান, নাটক সিনেমা ছাড়া এমন দৃশ্য আগে কখন দেখিনি তারা। আল্লাহ এমন শোক যেন আর কাউকে না দেন।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে স্বপ্নগুলো পড়ে রইলো স্বপ্নের জায়গায়। রইলো না স্বপ্ন বোনার মানুষগুলো। ফেরার পথে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন বর-কনে। একই সঙ্গে প্রাণ গেল বিয়ে উৎসবের সফরসঙ্গী আটজনের। দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করতে হলো আরও চারজনকে। নিয়তির এ নিষ্ঠুর খেলায় বিয়ে হলেও সুমাইয়া বরণ আর ফুলশয্যা হলো না রাজনের।